বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রাজধানী গুয়াতেমালা সিটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ফ্রাইহানেস-২ কারাগার থেকে এ ঘটনা ঘটে।
রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে কারা পরিচালক লুডিন গোদিনেজ বলেন, বারিও ১৮ গ্যাংয়ের সদস্যরা “নিরাপত্তা প্রহরীদের ফাঁকি দিয়ে” পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, শুক্রবার তিনি ‘সম্ভাব্য পলায়নের’ বিষয়ে একটি গোয়েন্দা সতর্কতা পেয়েছিলেন এবং ঘটনার পেছনে দুর্নীতির যোগসাজশ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র সরকার মাদক পাচারবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এল সালভাদরভিত্তিক বারিও ১৮ গ্যাংকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করে। গ্যাংটি সহিংসতা ও চাঁদাবাজির জন্য কুখ্যাত।
গুয়াতেমালায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে “সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য” বলে নিন্দা জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে এই ভয়ঙ্কর গোষ্ঠীর সদস্যদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যারা এই পলাতকদের বা অন্য সদস্যদের সহযোগিতা করেছে, তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।”
দূতাবাস গুয়াতেমালা সরকারকে পলাতক সন্ত্রাসীদের পুনরায় আটক করতে তাৎক্ষণিক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
গুয়াতেমালার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রান্সিসকো জিমেনেজ জানান, বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ১২ হাজার গ্যাং সদস্য ও সহযোগী রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৩ হাজার কারাগারে আটক।
এল সালভাদর সরকারের তথ্যমতে, বারিও ১৮ ও মারা সালভাত্রুচা (এমএস-১৩) নামের কুখ্যাত দুই গ্যাং গত তিন দশকে প্রায় দুই লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। একসময় এই দুই গ্যাং এল সালভাদরের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত।
.png)
0 মন্তব্যসমূহ