ইসরায়েলি আর্মি রেডিওর খবরে জানা যায়, এই হট্টগোলের সময় দুজন সংসদ সদস্যকে পার্লামেন্ট কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়—তারা হলেন আয়মান ওদেহ ও ওফের কাসিফ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, ট্রাম্পের ভাষণের সময় পার্লামেন্ট সদস্য আয়মান ওদেহ হাতে ব্যানার তুলে ধরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান। সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন ব্যক্তি তার দিকে এগিয়ে গিয়ে ব্যানারটি কেড়ে নেন এবং তাকে দ্রুত বের করে দেওয়া হয়। পরে জানা যায়, সংসদ সদস্য ওফের কাসিফকেও বের করে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার সময় ট্রাম্প কিছুক্ষণের জন্য তার ভাষণ থামাতে বাধ্য হন।
এর আগে আয়মান ওদেহ এক্সে (পূর্বে টুইটার) এক পোস্টে লেখেন, “ভণ্ডামিরও একটা সীমা থাকা উচিত। কোনও চুক্তি বা যুদ্ধবিরতির নাম করে নেতানিয়াহু সরকারকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় থেকে মুক্তি দেওয়া যায় না। আমি এসেছি শান্তি ও ন্যায়ের স্বার্থে—দখলদারিত্বের অবসান এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিই এর একমাত্র পথ।”
পরবর্তীতে ভাষণ শুরু করার আগে ট্রাম্প বলেন, “সবকিছু খুব দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে।”
নেসেটে তার ভাষণে ট্রাম্প বলেন, “আজ নতুন মধ্যপ্রাচ্যের একটি ঐতিহাসিক ভোর।” তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে “অসাধারণ সাহসী মানুষ” বলে অভিহিত করেন, আর পার্লামেন্টে উপস্থিত সদস্যদের অনেকে নেতানিয়াহুর ডাকনাম ‘বিবি’ বলে সাড়া দেন।
গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে সহায়তাকারী আরব দেশগুলোকেও ট্রাম্প ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “তাদের একসঙ্গে কাজ করা এক অবিশ্বাস্য বিজয়।”
ভাষণের শেষে ট্রাম্প বলেন, “ইসরায়েলের স্বর্ণযুগ আসছে—এবং এটি গোটা অঞ্চলের জন্যও এক নতুন স্বর্ণযুগের সূচনা।”
সূত্র: আল-জাজিরা
.png)
0 মন্তব্যসমূহ