নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন ও ইসরায়েলি প্রশাসনের সমালোচকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত ২৫ মার্চ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো এক দীর্ঘ বার্তায় রুবিও এই নির্দেশনা দেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্ত এসেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি নির্বাহী আদেশ সই করার ৯ সপ্তাহ পর, যার মাধ্যমে কিছু বিদেশি নাগরিককে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিশেষ করে, যাদের ‘মার্কিন সংস্কৃতি, সরকার বা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বৈরী মনোভাব থাকতে পারে’, তাদের লক্ষ্য করা হয়।
এছাড়া, ট্রাম্প আরও একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন, যেখানে ‘বিরোধী মনোভাবসম্পন্ন’ শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করার কথা বলা হয়, বিশেষ করে যারা গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত।
রুবিওর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কিছু শিক্ষার্থীর ভিসার আবেদন প্রতারণা প্রতিরোধ ইউনিটের কাছে পাঠানো হয়েছে, যারা তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় তৎপরতা পর্যালোচনা করবে। যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী বা ইহুদিবিরোধী মনোভাব পাওয়া গেলে, তাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
প্রতারণা প্রতিরোধ ইউনিট সাধারণত দূতাবাস বা কনস্যুলেটের কনস্যুলার শাখার অংশ, যা ভিসা আবেদনকারীদের স্ক্রিনিং প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
বার্তায় কূটনীতিকদের জন্য ভিসা বাতিলের মানদণ্ড সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিবিএস নিউজে ১৬ মার্চ রুবিওর এক সাক্ষাৎকার উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘আমরা এমন কাউকে চাই না, যারা অপরাধ করবে বা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবে। ভিসা হলো অতিথি হয়ে থাকার অনুমতি।’
এছাড়া, যেসব আবেদনকারী মার্কিন সংস্কৃতি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতি বৈরী মনোভাব পোষণ করে, তাদের ভিসা বাতিল করা হতে পারে বলে বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও এক্সচেঞ্জ ভিসার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নজরদারি করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ