বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (এডিএসজে) বিচারক আফজাল মাজোকা এ রায় ঘোষণা করেন, যা মঙ্গলবার সংরক্ষিত ছিল।
এই রায়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছে দলটি।
এর আগে চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি দেশটির সাধারণ নির্বাচনের কয়েক দিন আগে ‘অনৈসলামিক বিবাহ’ বিবাহের অভিযোগে করা ইদ্দত মামলায় রাওয়াল পিন্ডির আদিয়াল জেলা কারাগারে অস্থায়ী আদালতের বিচারক তাদের বিবাহকে ইসলামি বিধি মোতাবেক হয়নি বলে রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে প্রত্যেককে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।
বুশরার সাবেক স্বামী খাওয়ার ফরিদ মানেকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিনিয়র বেসামরিক বিচারক কুদরতুল্লাহ এই রায় ঘোষণা করেন। মানেকা অভিযোগ করেছেন যে, তিনি নিজ স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার তিনমাসের মধ্যেই ইমরানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বুশরা।
রায়ে বলা হয়, ইমরান ও বুশরার বিবাহকালীন সময়ে বুশরা ইদ্দতে ছিলেন। ইসলামি বিধি মোতাবেক ইদ্দতকালীন কোনো নারী অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারেন না।
তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে ১৪ বছর এবং সাইফার মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পর একই সপ্তাহে আদালত তার বিরুদ্ধে এ নিয়ে তৃতীয় রায় ছিল এটি।
সাধারণত ইসলামি রীতি অনুযায়ী কোনো নারী স্বামী কর্তৃক তালাকপ্রাপ্ত হলে তিন হায়েজ বা তিন মাস পর্যন্ত ইদ্দত পালন করতে হয়। আর স্বামী মারা গেলে চারমাস দশদিন একাকী নারীকে সংযম পালন করতে হয়। এছাড়া সন্তান জন্মের পর নেফাসকালীন সময় তথা চল্লিশ দিন পর্যন্ত ইদ্দতের এই সময়সীমা মেনে চলতে হয়।
সূত্রঃ ঢাকাটাইমস
0 মন্তব্যসমূহ