ইমেজ: সংগৃহীত |
আমরা আমাদের চুল ও ত্বকের জন্য নানান জিনিস ব্যবহার করি। ক্যাস্টর অয়েল ত্বক ও চুলের জন্য এমনই একটি উপকারি জিনিস যার ব্যবহারে ত্বক ও চুলের পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়।
ক্যাস্টর অয়েল সাধারণত ক্যাস্টর বিন থেকে আসে। এটি রিসিনোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে ভিটামিন ই, মিনরেলস, প্রোটিন, এসেন্সিয়াল ফ্যাটি এসিড যা আমাদের ত্বক ও চুলের জন্য অনেক উপকারী। এই প্রতিবেদনে আমরা জানবো ক্যাস্টর অয়েলের সাত কার্যকর ব্যবহার সম্পর্কে। চুলের মাস্ক হিসেবে ক্যাস্টর ওয়েলের সাথে জলপায়ের তেল অথবা নারিকেলের তেল মিশিয়ে একটি দারুণ চুলের মাস্ক তৈরি করা যায়। এটি তৈরি করে স্কাল্প ও চুলে লাগিয়ে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এরপর আলতো করে ধুয়ে ফেলতে হয়। ভ্রু ও চোখের পাপড়ি বৃদ্ধির সিরাম হিসেবে চুলও বৃদ্ধির জন্য ক্যাস্টর অয়েল উপকারী তা প্রমাণিত। প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে অল্প ভ্রু ও চোখের পাপড়িতে দিয়ে ঘুমাতে গেলে কিছুদের মধ্যে পরিবর্তন অনুভব করবেন। ত্বকের দাগ দূর করার জন্য রেগুলার ত্বকে ক্যাস্টর অয়েল মালিশ করলে, এটি ত্বকের দাগ অনেকটাই কমিয়ে ফেলে। লিপ বাম হিসেবে আপনার লিপ বামটি যদি শেষ হয়ে যায় তাহলে তার পরিবর্তে আপনি ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এতে ঠোঁট ফেটে যাওয়া কমে যায় এবং এটি ঠোঁটকে উজ্ঝল করে। প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার হিসেবে শীতে আমরা অনেক দাম দিয়ে ব্র্যান্ডের মশ্চারাইজার ক্রিম কিনি। কিন্তু এর পরিবর্তে আমরা ক্যাস্টর অয়েল ব্যাবহার করতে পারি। গোসলের পর অল্প পরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল নিয়ে ত্বকে লাগালে এটি আমাদের মশ্চারাইজ লক করে রাখে। খুশকি দূর করার ঔষধ কোনো ক্যারিয়ার অয়েলের সাথে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে চুলের ত্বকে লাগালে এটি খুশকি দূরতে করতে সাহায্য করে। মেকআপ রিমোভার হিসেবে আপনার ক্লিঞ্জিং বাম শেষ হয়ে গেলে ক্যাস্টর অয়েল ব্যাবহার করুন মেকআপ রিমুভ করতে। এমনকি এটা ওয়াটারপ্রুফ মাস্কারাও তাড়াতাড়ি তুলে ফেলে। |
0 মন্তব্যসমূহ