ঘটনার পটভূমি:
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হাঙ্গেরি সফরে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ ঘোষণা দেয় হাঙ্গেরি সরকার। ধারণা করা হচ্ছে, এই সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহুর সফরের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত।
২০২৩ সালের নভেম্বরে গাজায় চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষিতে আইসিসি নেতানিয়াহু এবং ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। আদালতের দাবি, তারা গাজা অঞ্চলে ইসরাইলি হামলায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে।
এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, "এটি একটি ইহুদিবিদ্বেষী এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত।" তিনি বরাবরই আইসিসিকে প্রত্যাখ্যান করে এসেছেন।
হাঙ্গেরির অবস্থান:
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান নেতানিয়াহুকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানোর পরই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী,
“আইসিসি এখন একটি নিরপেক্ষ বিচারালয় নয় বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এক মঞ্চে পরিণত হয়েছে। ইসরাইলি নেতাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি এই সত্যটিকে আরও স্পষ্ট করে।”
আইসিসির প্রতিক্রিয়া:
আইসিসির মুখপাত্র ফাদ এল-আবদুল্লাহ বিবিসিকে বলেন, হাঙ্গেরি এখনো আইসিসির সদস্য হওয়ায়, আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে আদালতের সঙ্গে সহযোগিতা করা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তবে তারা নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।
ফিলিস্তিন প্রসঙ্গ:
আইসিসি আগে থেকেই ঘোষণা করেছে, তারা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড—বিশেষত গাজা ও পশ্চিম তীরে বিচারিক ক্ষমতা রাখে। যদিও ইসরাইল রাষ্ট্রটি আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয় না এবং আদালতের অধীনে আসতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটিকে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছেন, আবার কেউ কেউ মনে করছেন এটি আইসিসির নিরপেক্ষতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
এই ঘটনাটি শুধুই আইসিসি বা ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের বিষয় নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক কূটনীতি, আইনি প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক অবস্থানের একটি জটিল প্রতিচ্ছবি। আপনি চাইলে এর প্রভাব, বিশ্লেষণ বা ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়েও আলাদা করে আলোচনা করতে পারি।
0 মন্তব্যসমূহ